January 6, 2025, 5:54 am

ভোলায় ডাকাতদলের আতঙ্কে গ্রামবাসী ও রাজনীতিবিদরা

মোঃ আবুল কাশেম জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : Wednesday, February 16, 2022,
  • 64 Time View
ভোলায় ডাকাতদলের আতঙ্কে গ্রামবাসী ও রাজনীতিবিদরা

ভোলা জেলার এওয়াজপুরের ফাতেমা বাহিনীর দৌরাত্ম রাষ্ট্রের জন‍্য হুমকি‌।

ঊনবিংশ শতাব্দীর সত্তর দশকের ব্যাংক ডাকাতের আত্মীয়রা পুনরায় দানা বেঁধে, বঙ্গবন্ধু হত্যার মত পুনরায় পুনঃ হত্যার পাঁয়তারা করছে।

ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষন থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগ নেতা শাহে আলমের উপর পঞ্চম দফার মারদাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়েছে। সাবেক গ্রাম সরকার (বর্তমানে বাতিলকৃত) বাহিনীর সন্ত্রাসী সদস্য আব্দুল আজিজ এর ছোট ভাই জেবল হকের স্ত্রী মৃত: জাহানারা বেগম এর নেতৃত্বে, তার ছেলে-সন্তানদের সহযোগে ঝি জামাই জাহাঙ্গীর মাঝি ও নাত-নাতনিরা অদ্য হতে প্রায় চৌদ্দ বছর আগের এক ঘুমন্ত রাতে প্রথম দফার হামলা চালিয়েছিল।

সেই হামলায় শাহে আলম তার ভগ্নিপতি সহ আহত হয়েছিল। পারিবারিক বিষয় নিয়ে এলাকার গত ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দিন লিটন এর এক বিচারিক অনুষ্ঠানের নামে গভীর রাতে বিচারবহির্ভূত বিচারক, স্থানীয় ইরির স্কীমের ম্যানেজারির নামের মন্নান ডাকাতের নেতৃত্বে শ্রমিকলীগ নেতা শাহে আলমের ঘরে প্রবেশ করে শাহে আলমের স্ত্রীর উপর অবৈধ ও বেআইনি স্বামীয়ানা আরোপ করার জন্য, স্বামী শাহে আলমকে বিচার নামক শৃংখলে জিম্মি ও বন্দী করে তার স্ত্রীর উপর ঐ মান্নান ডাকাত হামলা করেছে বলে অভিযোগ ও খবর পাওয়া গেছে। সেই মেম্বারের ক্ষমতার শেষ লগ্নের এক বিকেলে স্থানীয় টং দোকানের সামনে ঐ মেম্বারের এক ভাগিনা সাদ্দাম হোসেন ও ঐ শাহে আলমের উপর ঐ একই মান্নান ডাকাত হামলার হানা দেয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, মান্নান ডাকাত এলাকার আগুন সন্ত্রাসী ও মারদাঙ্গাবাজির মেম্বারি দখলকারক মৃত: মোতালেব এর পুত্র এবং সাবেক গ্রাম সরকার (বর্তমানে বাতিলকৃত) বাহিনীর সন্ত্রাসী সদস্য আব্দুল আজিজ এর ছোট ভাই জেবল হকের স্ত্রী মৃত: জাহানারা বেগম এর আত্মীয়-স্বজন।

এই জাহানারা বেগম এর আত্মীয়রাই বঙ্গবন্ধুর সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙ্ক ও থানা লুটপাট করেছে। আর ঐ শাহে আলমের মা বিবি মরিয়ম ভোলা মহকুমার মহকুমা সদর এলাকা, দৌলতখানের জজের পুকুর পাড়্ এলাকার বাসিন্দা মৃত: মজিবল ডাকাতের আত্মীয়-স্বজন। তাই ডাকাতির লক্ষ্য বস্তু সহ বিভিন্ন বিষয়ে মতামতের অনৈক্য নিয়ে শক্তিশালী ডাকাত বাহিনী– অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র বাহিনীর উপর হামলা করে থাকার রেওয়াজ অনুযায়ী, শাহে আলমের উপর ঐ দ্বিতীয় হামলা হয়েছে। এলাকার আধিপত্য ধরে রাখার জন্য জাহানারা বেগম তার জীবদ্দশায় তার এক দেবর মৃত: মাহমুদ ডাকাতের এক পুত্র কামাল ডাকাতকে আলমগীর ডাকাতের জামাই তৈরি করেছে। যাতে সেই জামাই তার নিজের মেয়ের জামাই জাহাঙ্গীর মাঝির মত মজিবল ডাকাতের বিভিন্ন লোকেশনের লোকজনের উপর হামলা করতে বলিষ্ঠ হতে পারে।

সেই অনুযায়ী এলাকায় ইউপি সদস্য বদল হয়ে সাহাবুদ্দিন পন্ডিত মেম্বার মশাই হওয়ার পর ঐ কামাল ডাকাত শাহে আলমের উপর হামলে ওঠে ও তাকে মারধর করেছে। সেই ব্যাপারে সাহাবুদ্দিন পন্ডিত মেম্বার মশাই, মনির ভূয়া দেওয়ান ডাকাতের টং দোকানে বিচারে বসে, ধুমধাম ধূমপান করে বিচার নিষ্পত্তি করে, উভয় ডাকাত পক্ষে শাহে আলমের উপর হামলার বিষয়টি নিষ্পত্তি মিলমিশ করেছে। কিন্তু ব্যাংক ডাকাত বাহিনীর লোকজন তাতেই ক্ষ্যান্ত হয় নাই। সেই ঘটনার মাস দুয়েক পর ইরির স্কীমের জমির টাকার লেনদেন নিয়ে বাড়াবাড়িতে নিয়োজিত করে ঐ মন্নান ডাকাত এলাকার টং দোকানের সামনে শাহে আলমকে ধানকাটার ধারালো কাঁচি দিয়ে জবাই করার চেষ্টা করেছে।

এবং বলেছে যে বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে তৎক্ষণাৎ তাকে খুন করে ফেলত। তাতে ঐ মান্নান ডাকাতের কিছুই হতো না। সেই হুমকি ধামকি খাওয়ার পর থেকে শ্রমিক লীগ নেতা শাহ আলম এলাকায় ঠান্ডা ভাবে চলতে থাকে। গত কয়েক দিন আগে সাবেক গ্রাম সরকার (বর্তমানে বাতিলকৃত) বাহিনীর সন্ত্রাসী সদস্য আব্দুল আজিজ এর বড় মেয়ে ফাতেমা বাহিনীর নেতৃত্বে, শাহে আলমের পুত্র শরিফের উপর হামলা হতে দেখা গেছে।

সেই ঘটনার সূত্রে জানা গেছে যে, মৃত: জাহানারা বেগমের দেবরের পুত্র কামাল ডাকাতের পুত্র রাব্বি, ফাতেমার পুত্র হাসনাইন মিলে শরিফের এক চাচাতো ভাই রায়হানকে নিয়ে গাঁজা সেবনের উদ্দেশ্যে তৎপর হয়ে মার্বেল খেলার আসরে শরীফের উপর হামলা ও মারপিট করে। উক্ত মারপিট এর পরের ধাপে এলাকার জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেত্রী ফাতেমা বাহিনী তার লোকজন সহকারে শরীফের উপর হামলা করেছে এবং শরীফকে আহত করেছে। স্থানীয়দের সহায়তায় আহত শরীফকে তার ঘরে পৌঁছে দিলে- ফাতেমা বাহিনীর শরীফ বয়সী ছেলে মেয়েরা শরীফকে রাস্তায় একা পেলে আবারো মারপিট করবে বলে শলাপরামর্শ করেছে। শ্রমিক লীগ নেতা শাহে আলম উক্ত খবর জানতে পেরে, শরীফকে আহত করার পরের দিন, বেলা বাড়ার সময় ফাতেমা বাহিনীর উপর জিজ্ঞাসাবাদে নিয়োজিত হলে, ফাতেমা বাহিনী শাহে আলমের উপর পুনরায় ঝগড়া-বিবাদ চালু করে।

উক্ত ব্যাপারে মৃত: জাহানারা বেগমের জামাই জাহাঙ্গীর মাঝি সেই আব্দুল আজিজ গ্রাম সরকার বাহিনীর বাড়ীতে গোপন মিটিং করার খবর পাওয়া গেছে। শ্রমিক লীগ নেতা শাহে আলম বর্তমানে ইরি ধানের চাষাবাদ কাজে নিয়োজিত রয়েছে বিধায় জাহাঙ্গীর মাঝির তৎপরতা সম্পর্কে কোন তথ্য জানতে পারে নাই। এদিকে ফাতেমা বাহিনীর ফাতেমা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, সে তার দূর সম্পর্কের এক চাচাত ভাই অলির নিকট বিবাহ বিরহে ব্যর্থ হয়ে, বিবাহের দাবীতে আদালতে উঠেও- ক্ষুদ্র বয়সের বিবাহের বেআইনি দাবীর কারনে, বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত মহিলা। মাত্রাতিরিক্ত বিবাহের দাবি বলবৎ থাকার কারনে এক যৌন দোষা ( ইসলাম ধর্মীয় ইবাদতের মসজিদ ঘরে তাবলীগ জামাতের এক ধৃত সাথী বলাৎকারের/সমকামীতার দোষে দোষী) জনু মুন্সীর পুত্র মহিউদ্দিনের নিকট ঐ ফাতেমা বেগমের বিয়ে হয়। বেআইনী বিবাহ বসার দাবীতে আদালত কর্তৃক পরিত্যক্ত হওয়ার মত, শ্বশুর বাড়ি পরিত্যাক্তা হয়ে উক্ত ফাতেমা বর্তমানে পিত্রালয়ে নিবাস নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

পিত্রালয়ের নিবাসে মোতায়েন থেকেই ফাতেমা এলাকার ও নিজ পৈতৃক বাড়ীর মহিলাদেরকে নিয়ে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেত্রী হয়েছে ও শ্রমিক লীগ নেতা শাহে আলম ও তার স্ত্রী-পুত্রদের উপর হামলা করেছে। উক্ত হামলার নীল নকশা আব্দুল আজিজ এর ঢাকার গোপন আস্তানা থেকে পাঠানো হয়। ফাতেমা তার জাতীয়তাবাদী মহিলা দল করার জন্য নিজ দলে বাড়ীর ষাঁড়হাবুদ্দিন সিহাবের বউ, মহিউদ্দিনের বউ, বাহাউদ্দিনের বউ, কামাল ডাকাতের বউ, নুরুদ্দিনের বউ, লিটনের বউ, লোকমানের বউ, আলাউদ্দীনের বউ ও গিয়াসউদ্দিনের বউকে নিজ দলে নিয়েছে বলে জানা গেছে।

এই সকল বউদের সবাই বিএনপি-জামায়াত পরিবারের মেয়ে। ঐ সকল মহিলাদেরকে নিয়ে ফাতেমা এলাকার বিভিন্ন মহিলার সাথে গোপন লবিং তৈরি করে তাদের স্বামীদের মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী ঘরানার লোকজনদেরকে সুকৌশলে ও বিচক্ষণতার সাথে নির্যাতিত করে। তাই সবাই দেশের চলমান স্থিতিশীল নিরাপত্তার জন্য উক্ত ফাতেমা ও ফাতেমা বাহিনীর বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কেননা- মস্তিষ্কের ফ্রন্টো পোলার কর্টেক্সর অসুস্থ পরিপক্কতা নিয়ে বেড়ে ওঠার কারনে প্রকৃতিগতভাবেই ফৌজদারি আইন লঙ্ঘনকারী ঐ ফাতেমা সুযোগ পেলে স্বাধীন দেশ আমেরিকার জন এফ কেনেডি সেন্টারের ইলন মাস্কের স্পেস এক্স এর বিভিন্ন প্রকল্পের মহাশূন্য উপাদানও ধ্বংস করতে দ্বিধাবোধ করবে না। ছবিতে আহত ও ক্রন্দনরত শরীফ।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71